আজ এতবছর পর চোখ দুটো আবারো ঝাপসা হয়ে ওঠে,
আঠারো বছর আগের সেদিনগুলো চোখের সামনে কেমন যেন স্পষ্ট হয়ে আসে!
যে হতচ্ছাড়া দাগটা সেদিন মনের দেয়ালে জায়গা করে নিয়েছিল
সেটা বয়সের ভারে কেমন যেন গাঢ় হয়ে গেছে।
আজ কেবলি মনে হয়, পুষে রাখা দাগগুলো হয়তো এমনটাই গাঢ় হয়।
দিবাকর! যে কালো মেঘটুকু সেদিন তোমার অস্তিত্বকে ঢেকে দিয়েছিল,
তোমার আলোটুকু সারা শরীরে মেখে আমায় আলোকিত হতে দেয়নি,
যে কালোটুকু তোমার বুকের গভীর থেকে শুষে নিয়ে আমি মেঘলা হয়েছিলাম
সেই কালোটুকু আমায় আজ বড্ড বেশি তাড়া করে বেড়ায়;
সেদিন তোমায় ধরে রাখতে পারিনি,দু’হাত দিয়ে আগলাতে পারিনি
তারপর! ধীরে ধীরে তুমি চলে গেলে,
একটু একটু করে তোমার শেষ হয়ে যাওয়া আমি শুধু অসহায় দৃষ্টিতে দেখেছিলাম
অদৃষ্টকে কতবার বলেছিলাম তোমায় যেন না নিয়ে যায়,
তোমার অস্তিত্বের অভাবে আমায় যেন মেঘলা না করে যায়;
অদৃষ্ট সেদিন শোনেনি! আমার আর্তনাদ শোনেনি!
অদৃষ্ট সেদিন আমায় মেঘলা করে গিয়েছিল
কিন্তু সত্যিই কি সেদিন তুমি চলে গিয়েছিলে?
আমার বুকের কাছটায় আজও তোমার অস্তিত্বকে টের পাই,
তুমি আজও স্পষ্ট আমার দু’চোখে
আজও তোমায় নিয়ে আমার বসবাস,আমার অনুভূতি জুড়ে তুমি!
বয়সের ভারে আজ আমি আর তোমার সেই সুনয়না নই;
আজ আর আমি তোমার ফেলে যাওয়া ছোট্ট মেঘলাটি নই।
তোমার বুকের গভীর থেকে শুষে নেওয়া সেই কালোটুকু
আজ আমায় ডেকে ডেকে যায়,আমায় ছুঁয়ে দিতে চায়।
অপেক্ষমান আমি! অপেক্ষা করে আছি!
তোমার কাছে যাওয়ার অপেক্ষা!