ইন্দ্রনীল-৪ -
এইচ বি রিতা
Published on: ফেব্রুয়ারী 3, 2014
তেত্রিশটি বছর পর,
চন্দ্রগ্রহনের ঠিক আগ মুহুর্তে, সন্মোহন কাটিয়ে
জীবন চলে এলো চেতনায়, গুটি পায়ে বিরহ কাব্যকথা হয়ে
জানতে পারলাম, ওটিই ছিল তোমার আমার সন্ধিচ্ছেদ।
ইন্দ্রনীল,
বহুকাল পুর্বে পতন শেষে লগনের তিলক হয়ে তুমি গেঁথে রইলে আমার অদৃষ্টে
প্রসব যন্ত্রনার ও অধিক নিন্দাচিহ্ন বুকে ঝাপটে;
হ্নদয়ের কোণায় কোণায় ঠেসে দিয়েছিলাম বারুদ।
জ্বলে যাক মায়ার বাসর, জ্বলজ সংসারের বেঁচে থাকার প্রহসন
জ্বলে যাক বুকের জমিন
যেদিন ছিলাম আমি সোনা রোদ্দূর, অগ্নিঝড়া সন্ধ্যা
তোমার চুমুর ভাষা কিংবা ঈশারা,
জীবন বোঝেনি সেদিন; মুখ চেপে বলেছিল বেঁচে থাক তুই আমায় ছাড়া।
তেত্রিশটি বছর পর,
আমি জেনেছি তোমার চোখে আজ নীল নদ
কৃত্রিম অহংকারে অভিমানী স্মৃতির অসুখ তোমার বুকে।
তেত্রিশটি বছর পর,
হাঁপিয়ে উঠা তীব্র কষ্ট গুলো আজ জলপ্রপাতের গায়ে আছড়ে পরে।
বুকের ভিতর এক পুড়া ইতিহাস, মৃয়মান; তবু জীবন্ত।
লুপ্ত প্রায় দীর্ঘশ্বাস বুকের মাঝ বরাবর আটকা পড়ে
অতঃপর জানতে পেরেছি,
জ্বোৎস্নার আড়ালে তোমার বুকে ছিল প্রখর আগুনের উত্তাপ।
ইন্দ্রনীল,
বহুদুর চলে গিয়েছো জানি
তবু পাশ ফিরলেই মায়ার আঁচলে গিঁট বাধা তোমার স্পর্শ পাই।
স্পর্শের শিহরনে পুরনো পৃষ্ঠা উল্টে উল্টে চোখ জলে ভিজে যায়।
ইতি-
বিনুবালা।

Add to favorites
1,088 views