একটি ভাষণ ও বাঙালীর স্বাধীনতা নীলুফা বেগম -
Nilufa Begum
Published on: এপ্রিল 25, 2018
বাঙ্গালীর জীবনে এক
অস্থির, দুর্গম, কণ্টকসংকুল সময়
নির্যাতিত মানুষের কান্নার হাহাকার
রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হওয়ার দৃশ্যপট,
মুমূর্ষু মানুষের আর্তনাদের তীব্র শব্দ।
তারই মাঝে বন্যার স্রোতের মত
লাখো মানুষের ঢ্ল,
সবুজ সতেজ রেসকোর্সের ময়দান
কারখানার ঘামে ভেজা শ্রমিক
জোয়াল টানা লুঙ্গী পড়া কৃষক।
মুক্তিকামী বিদ্রোহী যুবকের দল
চোঁখে মুখে যাদের মুক্তির চেতনা
স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্নময়তা
স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা, মেয়েরা-মায়েরা
শাহাবাগের ফুল বিক্রেতা কিশোরী মেয়েটা।
সবাই শুনেছিল বাঙালীর অধিকারের কথা
বাঙালীর দমনের কথা
তারপর ফিরে গিয়েছিল নিজেদের ঘরে
নিরস্ত্র বাঙালী জাতি একতাবদ্ধ হয়েছিল
নিজের দেশকে মুক্ত করার দীপ্ত অঙ্গীকারে।
কেও কি দেখেছে ইতিহাসের পাতা ঘেটে
শুধুমাত্র একটা ভাষণ থেকে
একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়!
ইতিহাসের খাতায় এভাবেই
নতুন পাতা সংযোজিত হয়।
পশ্চিমা শাসকের হাত কেঁপে উঠেছিল
সেই ভাষনের কন্ঠকে থামিয়ে দিতে
অথচ এই বাঙলায় সেই বজ্রধ্বনি একদিন
চিরতরে অন্ধকারে হারিয়ে যায়
মহাকালের পাতায় নতুনের সূচনা হয়।
সমষ্টিগত মুক্তির স্বপ্ন ডুবে যায়
ব্যক্তিগত উন্নতির পায়ের তলায়
সংকোচিত হয় স্বতস্ফূর্ততা ও স্বাভাবিকতা
সর্বহারার বদলে পুঁজিবাদ আসন করে নেয়
রাজনৈতিক পরিবর্তনে গনতন্ত্র ধুলিৎসাত হয়।
বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণে
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরীর সময়টা
ভোরবেলা থেকে বদলে মধ্যরাতে চলে যায়,
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার লাল সুর্যটা
বাঙালীর জীবন থেকে অসমেই ডুবে যায়।

Add to favorites
620 views