একা -
পেন্সিলে আকা পরী
Published on: মার্চ 5, 2017
আদৌ কি এই পথ ধরে কেউ হেঁটেছিলো কোনোদিন?
সুবিশাল অথচ ভিষন নিরঅহঙ্ককারী ধীর,শান্ত এই বটের ছাঁয়ায় কেউ কি কোনোদিন জুরিয়েছিলো প্রাণ!
হবে হয়তো!আমি তার জানিনা কিছুই।
বহু নাম না জানা পথিক হয়তো হেঁটেছিলো এই পথে,
এই বটের ঝিরঝির বাতাসের দোতারায় প্রকৃতির সাথে পালা করে হয়তো কোনো অদক্ষ সুরকার বেঁধে নিয়েছিলো তার গানের সুর।
ক্ষয়ে যাওয়া পিচঢালা এ পথের বাঁক পেরুলেই যে গ্রাম,
সেখানে ঢোলকলমির বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় বেগুনীরঙ্গা ফুল ;
দীঘির কালো জলে হাসেরা করে জলকেলী,
বাড়ির উঠোনে বসে গাঁয়ের বধূ দিনমানের শ্রান্তি শেষে খোলা পিঠে শুকিয়ে নেয় ভেজা চুল।
হবে হয়তো,আমি তার জানিনা কিছুই ;
আমি জানিনা এ পথে কেউ হেঁটেছে কিনা,
জানিনা সেই ক্লান্ত বধূর গাঁ খানি কেউ দেখেছে কিনা।
আমি শুধু জানি,যে পথিকই পেরোকনা কেন এই পথ!
গন্তব্যে পৌছে যাবার পর এ পথের কথা তার মনে থাকেনা কখনওই;
ভূলে যাবার বহু পুরোনো অভ্যাসবশত সে ভূলে যায় ধূলোমাখা সেই পথ,
যে তাকে বুক পেতে দিয়েছিলো তার অভিষ্টে যাত্রাকালে।
প্রচন্ড ক্ষরতাপে যে বটের ছায়া তাকে দিয়েছিলো প্রশান্তি!
যার আবহে আনকরা হাতেও উঠে এসেছিলো সরস্বতীর বীণা,
সুর বাঁধা শেষে তাকেও ভূলে যায় দিব্যি;
ভূলে যাওয়া অভ্যাসে ভূলে যায় সেই এলোকেশী বধূর মুখ।
আমি জানিনা সেই পথ,সেই বটের মূল এবং গাঁয়ের বধূকে কেউ কখনও দেখেছে কিনা,কেউ হেঁটেছে কিনা সে পথ ধরে,কেউ জুরিয়েছে কিনা সে বটের ছায়ায় বুক;
কেউ কি দেখেছে কখনও অপরিচিত সেই বধূর আনত অভিমানি মুখ!
শুধূ জানি অনাদীকাল ধরে তারা বেঁচে আছে,একা ভীষন একলা অথচ সকলের হয়ে।

Add to favorites
1,339 views