প্রণয়কাব্য -
Ajmery
Published on: আগস্ট 29, 2016
রিক্ত আমি, ভঙ্গুর এই হৃদয়ে
কি করিয়া লাগাইবে জোড়া প্রিয়
শুধু সবিনয়ে একটি কথা
যাইবার বেলায় তোমার ঐ চাঁদ মুখখান
একটিবার দেখিতে দিও।
জনমে জনমে ভুলিবো কি করিয়া
আঁখি পানে যে আঁখি থাকিত ডুবিয়া
খুঁজিতো গভীরতা প্রণয়ের
কি এক জাদুর নেশায়
আমায় আঁকড়াইয়া ডাকিত ফের।
আজো চাহিয়া আছি বাতায়ন খুলিয়া
দূর পথ পানে
নিভু নিভু চক্ষু মেলিয়া।
তোমার ছায়া দেখিবার তরে দূর পানে
চাহিয়া রহিয়াছি একমনে।
ওগো ইশ্বর আমায় করিবেনা কৃপা
কি এক মরণ রোগে ধরিল
আর কতক্ষণে আসিবে তুমি
সময় যে আমার ফুরাইলো।
লাল টিপ পরিয়াছি কাজল দিয়াছি আঁখিতে
তোমার অধরে সুর তুলিয়া লও
বাজাও শেষ প্রণয়ের সুর ঐ বাঁশিতে।
একা চলিতে ভীত আমির পথ সহজ করিলে
সামনে আসিয়া হাতটি আমার ধরিলে।
দশমির দেয়া লাল পেড়ের সাদা শাড়ি পরিয়া
আমি একা যাইতেছি প্রিয়
একা পিছনে তোমায় ফেলিয়া।
পিছনে ফেলিয়া আমার বকুল ফুলের মালা
তোমার গলায় দিয়া নদীর তীরে কাটাইতাম বেলা।
সপ্তসুর তুলিয়া গৌধূলি লগনে বাহিতাম তরী
কৃষ্ণ, রাধার প্রণয় উপাখ্যান রচিতাম সারাদিন ধরি।
ওহে কৃষ্ণ তুমি গিয়াছিলে রাধা কে বিরহে ফেলিয়া
আজ আমি রাধা করিয়া তোমায় একলা
যাইবো জনমের তরে চলিয়া।
জোছনার আলোয় স্নান করিলাম
শুরু করিলাম নবযাত্রা
যাইবার কালেও পিছন ফিরিয়া শেষবার
প্রিয়া ডাক শুনিবার তরে
বাড়াইলাম শ্রবণের মাত্রা।
কুয়াশার চাদরে নিকষ কালো আঁধার
তোমায় ঘিরিয়া রাখিয়াছে চারদিক
জানিয়া রাখিও প্রিয় বিশ্বভ্রমে না হোক
ও পাড়ে দু’জনার মিলন হইবে ঠিক।।

Add to favorites
1,988 views