ভ্রমণ -
আসাদুজ্জামান শাওন
Published on: অক্টোবর 28, 2019
ভ্রমণ
আসাদুজ্জামান শাওন
————————————
অদ্ভুত ধূসর দিনগুলোকে মনে পড়ে
যখন ডিপ্রেশন আর নিকষ কালো অন্ধকার,আচ্ছন্ন করে রাখতো – অস্তিত্ব,
হয়তবা,সেই সময়টা ছিলো – জীবনের শ্রেষ্ঠ বা অ-শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত;
ক্রমশও কবিত্ব প্রতিভা নিয়ে বেড়ে উঠছিলাম;মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো ভেবে।
স্মৃতি,ভালোবাসা,ব্যর্থতা,অনুশো
চনা,অন্ধকার জীবন,ক্রোধ,উগ্র কামনা-বাসনা এবং ব্যভিচারী মনোভাব –
আর,এসব সবকিছু যা লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলাম বা এখনো অবধি রাখছি কবিতায়।
গভীর রাতে সমস্ত ব্যথা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম – ছাদের বুকে
আঙ্গুলের ফাঁকে মৃত হতো অজস্র সিগারেট;মারিজুয়ানার ধোঁয়া ভেসে যেতো মহাশূন্যে,
গানস্ এন্ড রোজেস্ এর ‘নভেম্বর রেইন’ সং – এর সুর আবৃত করে রাখতো চারপাশ
কোরাসে লিপ্ত হতো অসংখ্য রাত পোকাদের বীভৎস শব্দ।
নিশ্চুপ প্রার্থনায়,ভেজা চোখে, শরণাপন্ন হতাম প্রভুর – এখনো হচ্ছি,
অবচেতন মনে প্রভুকে বলতাম – “আকাশ হতে আলো এনে দিন!”
নের্শাত চোখে বারংবার মহামান্য প্রভুকে খুঁজে বেড়াতাম –
হায়!অথচ,রক্তিম চোখ প্রতিক্ষণেই ধোঁকা দিতো, অভিশপ্ত শয়তানের মতন।
শীতল দৃষ্টিপাত মিলিয়ে যেতো প্রথম আকাশের বায়ুমন্ডলে
যে দৃষ্টি স্পর্শ করতে পারেনি প্রথম আকাশের ছাদ;
অথচ,পূর্ব-পশ্চিমের অধিপতি তিঁনি ছিলেন সপ্ত আকাশে।
মহামান্য প্রভু,
পৃথিবীকে আমার নরক মনে হয় –
পরকালে কবিত্ব প্রতিভা নিয়ে আপনার সামনে দাঁড়াবো,
যথোপযুক্ত পাপ-পুন্যের হিসেব নিয়ে, যেন আপনি তিরস্কার না করেন।
বস্তুত,আমি কি পাপী ছিলাম?
চেয়ে নিবো সত্তর জন হুর, যাদের স্তনের বর্ণনা পড়েছিলাম –
একজন মদ্যপ কবির কবিতায়;যদিও তিনি ছিলেন একজন নাস্তিক!
আরো চেয়ে নিবো বিশ্বস্ত মারিজুয়ানা,স্বর্গীয় মদ,স্বর্গের এক খন্ড জমি – নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল।

Add to favorites
1,849 views