লগ্নী -
এইচ বি রিতা
Published on: জুন 26, 2014
হে বিশ্ব বিধাতা, হে ভূপতি,
এখানটাই একবার ফিরে চাও
এখানে আলো নেই আঁধার রয়েছে ঘিরে পায়ে পায়ে
শৈত্য প্রবাহে শোকের গন্ধ; মৃত্যু শিকড় গারে মাটির গায়ে।
দরিদ্রমুক্তির আহবান ক্ষুদ্রঋণ-সামাজিক ব্যাবসা,তিরতির করে বাড়ে পুঁইয়ের ডগায়
নোবেল হাতে ধূর্ত মহাজন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে; ওদের ভান্ডার শতভাগ পুর্ন
চতুষ্পদের মতো লিকলিকে জিব ওরা মাংসভোজী, ওরা তৃণভোজী,
গুপ্তকক্ষতে মুদ্রা জমে কোটি কোটি; ওরা মহাজন,গ্রাম হতে সরকারী কোষাগারে নিত্য কারসাজি!
হে অভিক নৃপতি, অন্তর্যামী সর্বজ্ঞাতা জ্ঞানী
এখানটাই ফিরে চাও
নীড় হারা দিনমজুর; অবলা নাছিমা বেগম
অনাকাংখিত প্রবন্চনায় বিহবল ধুকে ধুকে মরে
কালো ঋণে জরাগ্রস্থ্য সুদের অর্থ পাহাড় সম ভার, কালজয়ী নৈরাশ্যে টানছে ঋণের ঘানি,
ভিটে মাটি সরে যায় ঘরের চালা উড়ে যায়; ওরা গ্রাম ছাড়া পলাতক আসামী!
হে সত্য, হে চিরন্তন দ্রোহে মত্ত,
এখানটাই ফিরে চাও….
বেজপাড়া গ্রামের বলাই কুমার সুদ করে কেনে চাকরী ছেলের
শেষে চাকরী গেল দুর্বিপাকে মৃত্যু ছেলেকে কেড়ে নিল, সুদের টাকায় বসত বাড়ী আর জমি ও গেল
আদিম হিংস্রতায় বলাই কুমার নির্বাক,অতঃপর ভূপৃষ্ঠে ধরাশায়ী হলো।
এখানে মহাজন নেয় ঘর, মরণ কেড়ে নেয় জীবন; মাটি কামড়ে পরে থাকা গরীবের ঘাম নাঁভিমুলে,
আজ বিলাপের কাল, আজন্ম ক্ষুদার্তের ভিরে দেখ ফিরে; এখানে প্রভুর বন্দনা হয় মন্দাকিমি ঢেউয়ের তালে।
তুমি চাও ফিরে চৌরাস্তার মোড়ে, দেখ মাথা কাটা আদিম সন্তান মহাজনের দ্বারে দ্বারে
হিসেব নিকেশ কষে যাযাবর ওরা, পেট ভরে বাসি ভাতের মাড়ে।
পাহাড়ের গভীরতায় কে যেন কাঁদে খন্ড মেঘে বিষাদ, এখানে সবুজ গিয়েছে মরে।
হে মহাশক্তি,এবার শক্তি দাও…
নাভীর একেবারে মূল হতে টেনে তুলি, গোড়া হতে যারজ ভ্রুন পিষে দেই
উৎপীড়িতের ক্রন্দন-সুর মুছে, সপ্তপুরুষের ভূমি কেড়ে নেই ভূস্বামীর পদতলে!
আর নয় বহুশত বছরের লালায়িত উৎপীড়ন, এবার হোক দ্রোহের আস্ফালন
যেখানে কেবল মানুষ-মাটি আর সোনার তরী
আর নয় কাঙালের ধন চুরি!
এবার ঝড় দাও, প্রাণে সঞ্চার দাও,
দ্রোহের অনলে জ্বলে উঠার শক্তি দাও
শাসক-শোষনের অবসানে তুষার গলানো উত্তাপ দাও।
https://m.facebook.com/Darkevil.poems.collection/photos/a.505191446270121.1073741828.505165486272717/732334843555779/?type=1&source=48

Add to favorites
980 views