লোমহর্ষক কিছু ধর্ষণঃ নেই প্রতিকার -
এইচ বি রিতা
Published on: মার্চ 24, 2016



সাম্প্রতিক কালে বহুল আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে ধর্ষণ। প্রতিদিন, কোথাও না কোথাও নারী ধর্ষিত হয়েই চলেছে। গ্রামে, শহরে, অফিসে, বাসে, লঞ্চে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, এমনকি জন্মদাতা পিতার কাছেও নারী সুরক্ষিত নয়।
স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ, পিতার সামনে কন্যাকে ধর্ষণ, পুত্রের সামনে মাকে ধর্ষণ… এ যেন এক ভয়ংকর আদিম খেলায় মেতেছে জাতী। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন শিশু থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী। ধর্ষণ শেষে নারী দেহকে কখনো জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে হচ্ছে, কখনো পানীতে, কখনো ফাঁশিতে ঝুলানো হচ্ছে, কখনো বা যোনীতে রড ঢুকিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্দ্ব কোন ঘরে বেওয়ারিশ লাশ বানিয়ে রাখা হচ্ছে।
দিন দিন ধর্ষণ ব্যাধি সংক্রামিত হয়েই চলেছে, এর প্রহসনে জনগন, মিডিয়া, প্রসাশন বা সরকার, কারো কোন সক্রিয় ভুমিকা নেই।
চাঞ্চল্যকর কিছু ধর্ষণের উল্লেখ্য না করলেই নয়-
— পূর্নিমা রানী শীলের ঘটনার কথা আশা করি কেউ ভূলে যাননি। ২০০১ সালের ঘটনা। বাংলাদেশের পূর্নিমা রানী শীল। অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। মায়ের সামনেই ১০-১২ জনের এক দল পশু পালাক্রমে ধর্ষন করে তাকে। এত মানুষ দেখে পূর্নিমার মা আকুতি করে বলছিলো, ” আমার মেয়েটা ছোট, তোমরা একজন একজন করে আসো,মেয়েটা মরে যাবে।” অসহায় বাবা নির্বাক দেখেছিল মেয়ের ধর্ষন। কতোটা অসহায় হলে, কতোটা নিরুপায় হলে, একজন মায়ের মুখ থেকে এমন বাক্য বের হতে পারে? একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যখন পরের দিন পূর্নিমা রানী শীল এবং তার মাকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করে, কতটা লজ্জা, কতটা অপমানে অশ্রুসিক্ত চোখ ভিজে উঠেছিল, কেউ কি সে চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছে? একজন অসহায় বাবার মাথা নিচু করে থাকা,একজন অসহায় মায়ের কান্না, একজন ধর্ষিতার নীরব চিৎকার, কেউ কি কান পেতে শুনেছে? কেউ শুনেনি।
— ছবি রানীর কথা কি আপনাদের মনে আছে? তিনি একজন সামান্য আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন। বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে। ২০০২ সালের ২১ শে অগাস্ট তৎকালীন জোট বাহিনীর ক্যাডার দ্বারা গন ধর্ষণের শিকার হন তিনি।তৎকালীন ক্ষমতাসীন ক্যাডার ছবি রানীকে বাস স্ট্যান্ড থেকে কাপড় খুলে ফেলে। এর পর তাকে বি এন পি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর একের পর এক ক্যাডার দ্বারা তিনি ধর্ষণের শিকার হতে থাকেন। ধর্ষকরা ধর্ষণ করে ছবি রানীর গোপন অঙ্গে মরিচের গুড়া, বালি আর কাচের গুড়া ঢুকিয়ে দেয়। ছবি রানী যখন ধর্ষিত হচ্ছিল তখন পাশের দোকানে আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা বিড়ি ফুঁকছিল। তার চিৎকারে সাধারন মানুষ তো দূরে থাক, পুলিশ ও সেদিন ফিরেও তাকায়নি । ছবি রানীকে বাঁচাতে সেদিন কেউ আসেনি। ধর্ষকরা ধর্ষণ করে চলে যাবার পরে ছবি কোন মতে উঠে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। পাশের চায়ের দোকানদার খিতিশ সাহা তাকে সেই মুহূর্তে খুলনা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করান।
কি অমানবিক! একজন নারীর গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো আর কাঁচের টুকরো ঢুকিয়ে দেয়া! কি পাষবিকতা! ধরনী কি একটি বারের জন্যও তখন কেঁপে উঠেনি?
— কক্সবাজারের উখিয়ায় উপজেলা রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার নূরুল আলমকে আশাকরি মনে রেখেছেন। তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার, হরিণমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।কুলাঙ্গার পিতা নূরুল আলমের জন্য ( সোমবার ১১-০৫ ২০১৫ ইং তারিখে সন্ধার সময়) মেয়ে সাবেকুন্নাহার তার বাবার চায়ের দোকানে জন্য রাত্রের খাবার নিয়ে যায়। এবং তার বাবা সাবেকুন্নাহার কে তার নিজ দোকানেই রেখে দেয়। রাত্রি যখন ১০ টা বাজে ঠিক তখন তার বাবা সব কাজ শেষ করে দোকান বন্ধ করে যখন বাড়ির গিকে যাছিলো ঠিক তখন পশ্চিম হরিণমারা ছৈয়দ করিমের একাশি গাছের প্লটের সামনে পৌছলে তার নিজ মেয়েকে জোর করে পাশেই একটি জংগলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে।
কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত পুরুষ এখন নিজেকে মহাশক্তিশালী বীর ভাবতে শুরু করেছে। আর তাই ওরা ভুলে যাচ্ছে ধর্ম, ভুলে যাচ্ছে পাপ-পূণ্যের কথা। নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করার প্রচলন শুরু হয়ে গেছে। আর বাকি থাকে কি? কিছুদিন পর হয়তো নিজ জননীও ওদের থেকে রেহাই পাবেনা!
যমুনা ফিউচার পার্ক এর সামনে থেকে এক উপজাতি মেয়েকে ধরে নিয়ে গিয়ে, ফ্লাই-ওভারের উপরে, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে, মাইক্রোবাসে করে ঘুরে ঘুরে ধর্ষণ করে উত্তরা জসীম উদ্দিন এ ফেলে রেখে গেলো একদল দুর্বৃত্ত। সারাদেশ তোলপাড়, প্রত্যেক টি ট্রাইবাল গোষ্ঠী ও আপামর জনতা মানব বন্ধন আন্দোলন করেছে। মিডিয়াও কাহিনী সবিস্তারে তুলে ধরে ফলাও করে প্রচার করেছে। ঘটনার কয়েকদিন পর ধরা পরলো দুই আসামী। আবার জামিনে ছাড়াও পেয়েও গেল।
গৃহকর্মী নির্যাতন এখন আমাদের হাই ক্লাস সোসাইটিতে বলতে গেলে লাইসেন্সকৃত। তাদের উপর মানসিক নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতনের বেশীর ভাগ খবর গুলোই মিডিয়াতে আসেনা। কখনো ওরা দারিদ্রতায় পিষ্ট বলে, কখনো অপরাধী ক্ষমতাশীন বলে। সম্প্রতি তেমনি একটি ঘটনা আমাদের অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেছে।
গত ৬ই মার্চ, ২০১৬, রাজধানী মিরপুর ১৩ নম্বরে ন্যাম গার্ডেনের একটি বাসায় ধর্ষণের পর গৃহকর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ধর্ষিতার পরিবার ওই ঘটনায়,জাতীয় মুক্তিযোদ্বা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব আহসান হাবীরের ছেলে জুম্মন হাবীবকে দায়ী করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ইতিপুর্বেও জুম্মন হাবীব আরো ৩/৪ জন মেয়েকে ধর্ষন করে। এঘটনার পর সেদিনই একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে কাফরুল থানা পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জন নিরাপত্তা কর্মীকে আটক করা হলেও, পরে আবার তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে নিহত ধর্ষিতার পরিবার দাবী করছেন, এটি অপমৃত্যু নয়, তাদের মেয়েকে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলার পরিবর্তে কেন অপমৃত্যুর মামলা হলো, তার প্রতিবাদে সোমবার থানার সামনে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজনেরা।
( ভিডিওটি দেখুন- https://www.youtube.com/watch?v=F1eV6NvyiGA )
ইউটিউব ভিডিওতে খবরটি প্রচার হলেও, নামি দামী কোন পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়নি।
নিরীহ এই গৃহকর্মী কি তার প্রতি করা অন্যায়ের বিচার পাবে? পাবেনা।
প্রতিদিন এমন বহু অসহায় নারী ক্ষমতাসীনদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে। অপরাধীর বিচার হয়না। ধর্ষন এখন আমাদের জন্য ” গুদের উপর বিষ ফুঁড়া”র মতন। যতক্ষন ব্যাথা টের পাই, চিৎকার করি। ব্যাথা কমে গেলেই কাপরে সে ক্ষতস্থান ঢেকে রাখি।
নারী কোথাও নিরাপদ নয় জানতাম, তাই বলে নারী যে সেনানিবাসের মতো এমন নিরাপত্তাবহুল একটি এলাকার ভেতরেও নিরাপদ নয়, সে কথা জেনে অবাক ও বিস্ময় হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা।
গত ২০শে মার্চ, কুমিল্লা সেনা নিবাসের ভিতরে সোহাগী জাহান তনু নামের একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় অলিপুর এলাকায় প্রাইভেট পড়ার জন্য সোহাগী বাসা থেকে বের হন। পরে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে। রাত ১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কালা পানির ট্যাংকির কালভার্টের পাশের একটি জঙ্গলে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। লাশ পাওয়া যাওয়ার খবরে স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লাশটি সোহাগীর বলে শনাক্ত করে।
কিন্তু সেনানিবাস- যার প্রতিটা কদমে কদমে নিরাপত্তা বেষ্টনী, যেখানে সাধারন মানুষের প্রবেশ নিষেদ, সেখানে সোহাগী জাহানের হত্যাকাণ্ড কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
আজ সোহাগীকে নিয়ে ফেইসবুকে প্রতিবাদের ঝড়। মিডিয়াও কিছুদিন লাফাবে। তার সেই একি নিয়মে ” গুদের উপর ফুঁড়ার বিষ” কমে গেলে সবাই ভুলে যাবে। হয়তো আসামী ধরা পরবে, আবার জামিনে ছাড়াও পেয়ে যাবে। সোহাগীদের অতৃপ্ত আত্বা মরে গিয়েও ডুকরে ডুকরে কাঁদবে।
তবে এর শেষ কোথায়? এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি? আমরা কি কেবল নিজেদের এভাবেই ধর্ষিত হতে দেখবো? দেশ, সরকার, জনগন, মিডিয়া… কারো কি কিছু করার নেই?
নাকি পুরুষের একটি বিশেষ অঙ্গের কারনে ধর্ষণ করার অধিকার তার মোলিক অধিকার বলে বিবেচিত? যদি তা না হয়, তবে রাষ্ট্র ঘোষনা দিক- প্রতিটি ধর্ষকের পুরুষাঙ্গচ্ছেদ করা হোক। প্রতিটি ধর্ষকের শিরোচ্ছেদ করা হোক।
ধর্ষকের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা হোক। সৌদীর মত জনসন্মূখে মাথা কেটে ফেলা হোক। তবে যদি ধর্ষণের সংখ্যা কিছু কমে। সরকার আরো কঠোর ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিক তার রাষ্ট্র পরিচালনায় কর্মকর্তাদের সততার উপর। কোন ধর্ষক যেন ক্ষমতা ও টাকার জোরে ছাড় না পায়।
কিছু পুরুষকে বলতে শুনি, পর্দাহীন চলাফেরাই নারীর ধর্ষণের কারন। নারী যদি পর্দা করে চলতো তবে এত ধর্ষণ হতোনা।
আজ তনু হত্যার পর মনে প্রশ্ন আসে, পর্দাই যদি নারীর সুরক্ষায় যথেষ্ট ছিল, তবে তনু কেন ধর্ষিত হলো? তনু তো হিজাব পরতো! নাকি এখন হিজাব দেখেও কুকুর গুলোর যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়?
ধর্ষণের সাথে নারীর পর্দার কোন সংযোগ নেই।
যদি থাকতো, তবে বেপর্দা নারীই কেবল ধর্ষিত হতো, পর্দাশীল নারী ধর্ষিত হতোনা। আর হলেও, কেবল যৌন বাসনা পূরণ করে নারীকে ছেড়ে দিত, ধর্ষণের পর নারীকে বিকৃতভাবে যোনীতে রড ঢুকিয়ে, মরিচের গুঁড়ো-কাঁচের টুকরো ঢুকিয়ে উল্লাস করতো না।
কিছু পুরুষ রয়েছে,যারা আক্রমনাত্বক, হিংস্র ও অহংকারী। ওরা বিছানায় সঙ্গীর কাছে কোমল ও শীতলতার চেয়ে বন্য ও হিংস্রতা বেশী আশা করে। আর একারনে অনেক পুরুষ নিজ স্ত্রী ঘরে রেখে পরনারী গমন করেন, কখনো বিষয়টি ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়।
যারা ধর্ষক, তারাও ওরকম হিংস্র পুরুষ। ওরা একটি মেয়েকে জোর করে আনন্দ পায়। মেয়েটি যখন ব্যাথায় চিৎকার করে, ওদের যৌন উত্তেজনায় তৃপ্তি আসে। মেয়েটির চুল টেনে ছিড়ে, মেয়েটির যোনীতে রড-মরিচের গুঁড়ো-কাঁচের টুকরো ঢুকানোর সময় যখন মেয়েটি অসহয যন্ত্রণায় হাত পা ছুড়ে, তখন ওদের উল্লাস বেড়ে যায়।
রতিক্রীয়া কতক্ষন চলে? বড়জোর ২ মিনিট! এত জোর-জবরদস্থির পর শরীর তো এমনিতেই ক্লান্ত! ২ মিনিটেই ধর্ষকের বীর্য নির্গত হয়ে যাওয়ার কথা! তারপর ও ধর্ষক চায় আরো কিছু সময় রতিক্রীয়া চালাতে; ফ্রিতে এমন বিনোদন হাতছাড়া করা যায়না! কিন্তু ওরা পারেনা! আর তখনই ধর্ষক নিজ অক্ষমতায় ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। বাকি সময়টা ওরা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নারীকে ক্ষত বিক্ষত করে। আঙ্গল, যন্ত্র, রড, মরিচের গুঁড়ো, কাঁচের টুকরো, ব্রাশ….. ব্যবহার করে তাদের সমস্ত পৌরুষত্ব দিয়ে নারীকে ধর্ষন করে। ওরা আনন্দ পায়।
নিজেকে বাঁচাতে ওরা মেয়েটিকে ধর্ষনের পর মেরে ফেলে, এমনটা নয়। অমানবিক অত্যাচার সইতে না পেরে মেয়েটি মৃত্যু বরণ করে। ধর্ষণের সাথে একটি পুরুষের ভায়োলেন্ট মনোভাব জড়িত, অসুস্থ্য মস্তিস্কের চেতনা জড়িত; নারীর পর্দা নয়।
এখনো খুব দেরী হয়নি! সমাজ, মিডিয়া, সরকার, রাষ্ট্র, প্রশাসন, নারী অধিকার সংস্থা, নারীর অধিকার রক্ষায় মানবাধিকার সংস্থা, সকলকে সততার সাথে নারীর পাশে দাঁড়াতে হবে। নারীর জান ও সতীত্ব রক্ষার বিষয়টি আইন ও সংবিধানে স্বীকৃত হলে তবেই সুরক্ষা হবে। নারীবান্ধব আইন গুলো নারীর অধিকার ও নারীর জান-মালের হেফাজতে কতটা প্রয়োগ হচ্ছে, তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
নারী ধর্ষণ নিরসনে, সর্বপ্রথম সরকার ও রাষ্ট্রেকে দায়ীত্বশীল হতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা মূখ্য।

Add to favorites
4,849 views