০৭-০২-২০১৫
মামলা: অস্ত্র-বিস্ফোরণ মামলা
মো: নোমান হোসেন, পেট্রোল বোমা সহ হাতে নাতে গ্রেফতার।
এই বিবৃতিতে নোমান হোসেনের নামে থানায় এফ আই আর করা হয়েছে।
আপরাধী নোমানকে হাজতে বন্দী করা হয়েছে।
__
মো: নোমান হোসেন,পিতা- মোঃ বেলাল হোসেন, শহরের একটি কলেজে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র।তার ছোট বোন,মা আর অসুস্থ পিতা গ্রামে থাকে।নোমান শহরে একটি মেস বাসায় থেকে লেখাপড়া করে, সাথে দু-চারটি টিউশনি করে নিজের,সংসারের এবং অসুস্থ পিতার চিকিৎসা- তথা তার দেশের নিরীহ লোকের জন্য বরাদ্ধকৃত নিরীহ চিকিৎসানীতির যথাসম্ভব দারিদ্রতার আঁচে যতটুকু সামর্থ সুস্থতার সাথে চালিয়ে যাবার যুদ্ধ করছে। অস্থির দেশের অস্থিরতায় নোমানের মত সকল সাধারন মানুষ অস্থির।এর মধ্যে গ্রাম থেকে খবর এল পিতার অবস্থা খুবই আশংকাজনক; গেল মাসে ঔষুধ কেনার জন্য যে টাকা পাঠানো হয়েছিল তা নাকি ‘অমুক স্মৃতিচারণ সংঘটন’এর স্মৃাতচারনা অনুষ্ঠানের নেয়ামত হিসেবে যথেষ্ট মানবিক জোরাজুরি করেই দেয়া হয়েছে।খবর পাওয়ার পর নোমান তার হাত খরচের সম্পূর্ণ টাকা গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত দুশ্চিন্তা নিয়ে মেসের ঘরে এসে বসল।হঠাৎ’ই দরজায় খটখট শব্দ হল।মেসের একজন গিয়ে দরজা খুলতেই ভূত দেখার মত অবস্থা হল।এযে পুলিশ।
সাথে সাথে ঘাপটি মেরে যে দরজা খুলল তাকে ধরা হল।কিছু বুঝে উঠার আগে ঘরের সবাইকে দরে হাতকড়া পরিয়ে দিল।
স্যার, আমরা কি করেছি?
(পুলিশ ঘরের এদিক-ওদিক ঘুরে)এটা কি? হাদিস শিক্ষা?আর মোকসুদুল মুমিনিন! আর কিছু নাই?
-স্যার বাংলার সব মুমিনের ঘরে ‘মোকসুদুল মুমিনিন’ থাকে।
তোদের কি আরো কিছু লাগবে? নাকি এমনিতে যাবি?
-কেন যাব?
(টেবিলের উপর দুটো বোতল রাখা হল) এইবার চল !
-স্যার আমাকে ছেড়ে দিন।আমার বাবা অসুস্থ, কাল সকালে বাড়ি যেতে হবে।
বেটা! আমি, তোর মোকবুল বাপ তো তোর পাশেই বসে থাকবো। তারপর খুশি করে দিলে তোকে ত্যাজ্য করে দিবো।(অট্ট হেসে)
০৮-০২-২০১৫
মো: নোমান হোসেনের নামে মামলা হল। চার্জশিটের ফাইল দাখিলের কাজ শুরু।
১০-০৮-২০১৫
মো:নোমান হোসেন সহ গ্রেপতারকৃত সাত জনের নামে দায়েরকৃত মামলার শুনানি,
যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় ছয় জনকেই অব্যাহতি দেওয়া হল।
মো:নোমান হোসেনের চার্জশিট ফাইল দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তাক নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হল।
আদালত থেকে বেরিয়ে যাবার পথে ছয়জনের একজন অরেকজনের উদ্দেশ্যে-ওই যে দেখ আরো পাঁচ লাখ(৫ জন দাড়ানো ব্যাক্তির দিকে), পরের টিপে ঢুকবে।
______________
০৭-০২-২০১৬
মামলা- হত্যা মামলা
মো: নোমান হোসেন, গলাকেটে যুবতিকে হত্যার পর হাতে নাতে গ্রেফতার।
০৮-০২-২০১৬
চার্জশিট গঠিত; যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণও রয়েছে।
১০-০৮-২০১৬
মো: নোমান হোসেনের হত্যা মামলার শুনানির আগ মূহুর্তে হাকিমের কিছু প্রশ্ন,
তোমার নাম?
-পেট্রোল নোমান।
পিতার নাম?
-মরহুম বেলাল হোসেন।
তোমার বিরূদ্ধে দায়ের কৃত মামলা-অভিযোগ সব সত্য?
-হুম!
কদিন আগেও আরো দুটো হত্যা মামলায় তুমি কাঠগড়ায়
এসেছিলে,সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায়
জামিনে ছাড়া পাও ঠিক?
-হুম…(মলিন হেসে)
কিন্তু তথ্য মতে মেয়েটি তো তোমার প্রেমিকা ছিল?
-যা শুনেছেন,মিথ্যা
-মেয়েটি আমার প্রেমিকা ছিল না; কনস্টেবল মোকবুলের মেয়ে ছিল।
-আর, আমি প্রেমিক নই।
-আমি সন্ত্রাসী।
_________________________________________________________
বি:দ্র- তারিখগুলো একটু খেয়াল করবেন।

Add to favorites
1,464 views