আমিই তার হত্যাকারী -
এইচ বি রিতা
Published on: জানুয়ারী 11, 2017
টলটলে জলে কিংবদন্তী সময়,
সাজানো সংসারে আঁচলপাতা মমতায় রক্তখেকো বাঘিনী
চোখ ছিটকে বেরিয়ে আসে সম্পর্কের মায়াজাল;
জলাতঙ্ক রোগ বাসা বেঁধেছে মনে; মনেহয় নিজের টুঁটি চেপে ধরি!
নির্বোধ পৃথিবী সকল আলো নিভিয়ে দেয়
আত্মহননের ঈপ্সা জেগে উঠে বজ্রপাতে,
ন্যয্য অধীকার চাপা পরে কান্নার বালিস তলে; তবু
জলহীন গলায় অভাবী কণ্ঠস্বর চিৎকারে জমিন ফাটায়
নিস্পৃহ অভিমানে অপ্রকাশিত গোঙানি জানান দেয়;
খুন হয়ে যাই; খুন হয়ে যাই!
শীতল মগজ ধীরলয়ে আড়মোড়া ভাঙ্গে,
মগজের ভিতর দুষিত বায়ু খুঁজে নেয় স্বস্তির ঠিকানা
জ্ঞানবোধ শুইয়ে পরে ধূসর পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠার বুকে
মনে হয় ডানপিঠে শিশুর মত ঝাপিয়ে পরি ছাদ হতে,
চুলের মুঠি ধরে ঘার হতে মাথা নুইয়ে ফেলি; ইট-পাথরে
থেঁতলে দেই হাতের দশ আঙ্গুল!
দৃশ্যপট বদলে যায়, জলের ভিতর আতঙ্ক ছায়া
কুকুরের মত দৃশ্যমান জিবে কামুক লালায় রক্তপাত
ইচ্ছে করে কামড়ে দেই সম্পর্কের গায়ে
ধারালো নখে পৃথিবীর বুক আঁচরে রক্তগঙ্গায় স্নান করি প্রত্যূষে,
অবশেষে চরম বিভ্রান্তিতে ঝাপিয়ে পরি গচ্ছিত ভ্রুনে;
গলা হতে মাথা আলাদা করি নিজ হাতে!
অতঃপর,
নির্বাক চেয়ে থাকি নিঃশ্বাসের কাছাকাছি, পৃথিবীর মুখে
ওই দেখো, ঘুমের কোলে আমার পৃথিবী; কেমন রক্তে ভেসে যায়!
নাড়ি খামচে বসে পরি ধূলয়, প্রসব বেদনা থেমে থেমে ফিরে আসে
জলতৃষ্ণায় মধ্যরাতে চেপে ধরে গলা,
দেখি,
মমতাহীন পৃথিবী শুইয়ে আছে লাল চাদরে;
নিথর দেহখানি রোদ হয়ে উড়ে যায় নীলসন্ধ্যার কপালে।

Add to favorites
487 views