একজন ফয়সাল -
এইচ বি রিতা
Published on: আগস্ট 1, 2017
দীর্ঘ বিরতির পর আবার কথা হলো; চোখে চোখে; অশ্রুদাহে
অতপরঃ বরফ শীতল দৃষ্টিতে
সবুজ অরণ্য ছেড়ে সে ছড়িয়ে দেয় করুণা; ঘরময়
জরাগ্রস্ত্য শরীর ছেড়ে প্রদীপশিখা নিবু নিবু
আগন্তুক আগাছার শেকড় আঁকরে বেঁচে থাকার প্রহসনে,
প্রেয়সীর প্রেমময় মুখ নয়;
যুবকের উন্মুক্ত বুক স্যাতস্যাতে ঘামে ভিজে যায়!
রোদের দাপট বাড়ে শহুরে পথে
অদ্ভূত যন্ত্রণায় দিন মজুর পিতার চোখে আঁধার কালো রাত্রি;
সন্তানের প্রাণ ভিক্ষায় মাতা খুঁজে ঈশ্বরের শরীরি উপস্থিতি,
স্নেহ গলে পড়ে রক্ত হয়ে
সব আছে; বই, খাতা, তার বোতাম ছেঁড়া শার্ট
শুধু মানুষটি নেই।
ছুঁতে না পারার আফসোস শেকড় গজায় স্তনযুগল ভেদে বুকের গহীনে
মাতা দেখে, বিষন্ন আকাশে সোনার হরিণ একাকী বৃষ্টিতে ভিজে।
যুবকটি পড়ে রয় আঁটাশ নাম্বার বেডে
স্নায়ুযুদ্ধ দিন দিন নিস্তেজ হতে থাকে
কতক মানুষের দাপাদাপি, শতেক অমানুষ অট্টহাসিতে ফিরে নীড়ে
মানবতা লঙ্ঘন হয়, মানুষে অমানুষে
স্পর্শের বাহিরে যেতে যেতে বোধহীন যুবক দেখে সন্নিকটে মরণ
অতপর, একটি মানবিক আবেদন শিখিয়ে দেয় পৃথকীকরণ।
পৃথিবী নির্দয়, জেনেছি বহু আগে
তারও আগে জেনেছি রক্ত মাংসের মানুষ বড় বেদনাময়!
নিঃশ্বাস বন্ধ করে ওরা ছুঁটে অনিত্য মোহে, লাগামহীন
অন্ধ বধীর, ওরা পাশ কেটে যায় তারুণ্যের সশস্ত্র বিপ্লব
ওরা মানবতা পদদলিত করে; ওরা যুক্তিতর্ক শেষে;
প্রকাশ্যে মানবতা লঙ্ঘন করে।
কত শত ফয়সাল রোজ মরে, কে তোয়াক্কা করে
তবু একজন ফয়সালকে বাঁচিয়ে রাখার জিদ
গোপনে শিরায় ঢুকে পড়ে, জিদ তরতর করে বাড়ে।
পৈশাচিক তপ্ত দহনে কতক মানুষ বজ্র ঘোড়া হয়ে ছুঁটে
ঈশ্বর দেখেন! ঈশ্বর নিশ্চয় শুনেন,
চৌরাস্তার মোড়ে দিনমজুর পিতা কাঁদেন
মুমূর্ষ সন্তান আঁচলে লুকিয়ে মাতা যমদূত নিমন্ত্রণ করেণ,
কতক মানুষ ভিক্ষুক বেশে লান্চিত হন দ্বারে দ্বারে
বলি, এতসব আয়োজন কি শুদুই বৃথা আস্ফালন?
ঈশ্বর তবু নীরব থাকেন,
তিনি বলেন, আমি এখনো অপেক্ষায়; বিভক্ত মানুষের।

Add to favorites
1,261 views