জীবনচক্র ৪ -
এইচ বি রিতা
Published on: জুন 29, 2013
অবশেষে জানলাম মানুষ বড় একা।
দুরে যাও যত দুরে পারো। আমার কোন চিত্ত বিকার নেই আজ! এখন আমি একাই ভাল থাকি। এখন আর তোমায় নিয়ে কষ্ট বাড়েনা।
বিষন্ন বেলায় চুপচাপ বসে থাকি ঘরের কোনে। নিষ্পলক! দেখি ক্ষুদে মাকড়শা ধপাস করে পরে। আবার জ্বাল বেয়ে উঠে। এক এক করে জ্বাল বুনে বুনে বসতী নিশ্চিত করে। আবার পরে, আবার গড়ে! আমি তাকিয়ে থাকি নির্বোধ চোখে।
অন্ধকারে কে যেন ছোঁয়ে যায় আমার পায়ের মসৃন ত্বকের উপর। ইঁদুর বুঝি! নরম তুলতুলে মাংসপিন্ডের চাপে গা গুলিয়ে উঠে। বসে রই অনড়, আবারো নরম ছোঁয়ায় কিছু একটা লাফিয়ে যায়। শেষবার মত নখের কোনে দাঁত বসিয়ে দেয়; এবারো আমি অনড়!
আনমনে পথে নামি।দেখি রাস্তা সরে যায় দূর থেকে দূরে। সারি সারি গাছের আড়ালে নৈঃস্বর্গিক নিঃসঙ্গতা হাত বাড়িয়ে ডাকে। আমি নিশ্চল এগিয়ে যাই এক পা দু’পা।পথ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়; তবুও হাটি।
নীরবতার কথোপকথন শুনি কান পেতে।চুপিচুপি রাত এসে পাশে দাড়ায়। আচমকা আকাশ কেঁদে উঠে হুহু। আকাশের বুক ফেটে দুঃখ ঝড়ে পরে আমার মুখে, আমার বুকে।আমি মৃদু হেসে উঠি। জীবন্ত পোস্টার হয়ে দুঃখ লেগে থাকে আমার গায়ে। আমি তবুও নীরব!
এ পৃথিবী জানে কার বুক শুন্য! পৃথিবী জানে তার কোন গলিতে উপচে পরা দুঃখ তরঙে বিষাদের ডিঙি নৌকা ভাসে একলা! পৃথিবী জানে কার বিহনে বিষন্ন বালিয়ারী জেগে উঠে মধ্যরাতে! পৃথিবী জানে হাজারো নীরব লীলার সাক্ষী সে!
পৃথিবী জানে আমি কে!

Add to favorites
1,127 views