দ্বি-প্রহর -
এইচ বি রিতা
Published on: আগস্ট 23, 2013
মাঝে মাঝে বড় অস্থির লাগে।মাঝ রাতে জেগে উঠি। বিষন্নতার ব্যাধিতে ছেয়ে যায় মনের আঁনাচে কাঁনাচে! প্রলংকরী ঝড়ে যেমন বন্যায় প্লাবিত হয় পৃথিবী ঠিক তেমনি করে মনের দুঃখ প্লাবনে ভেসে বেড়ায় আমার খন্ড খন্ড ইচ্ছেগুলি।আহ! কি যে ভয়ংকর চাপ অনুভব হয় বুকে! মনে হয়, মনে হয়….. ভেসে যাই কোথাও! যখন মাঝরাতে হঠাৎ জেগে উঠি, ঘুমন্ত পৃথিবীর বুকে কান পেতে নীরব কান্না শুনি।চারপাশটা কেমন কষ্টের চাদরে মোড়ানো।আঁধারের মাঝে একা একা হেঁটে বেড়াই, এ ঘরথেকে ও ঘরে। কখনো বাড়ান্দায় গিয়ে বসি। যতদুর দৃষ্টি যায় চেয়ে থাকি। আঁধারের মাঝেও এক ধরনের প্রশান্তি আছে। মনটা জুড়িয়ে যায়। আমার স্থায়ীত্ব কম। আঁধার ও বেশীক্ষন ভালো লাগেনা। আবার মন ছুটে যায় খোলা আকাশের নিচে। বেড়িয়ে পড়ি। হেঁটে হেঁটে ক্লান্তি এসে যায়। ফিরে আসি সেই চিরচেনা ঘরটিতে। কাঁথা মুরি দিয়ে শুয়ে পড়ি। হাজারো ভাবনা আমায় ঘিরে ধরে, স্মৃতিরা বড্ড জ্বালায় তখন। সেই ছোট বেলার হাড়ানো পুতুলটি খুঁজে ফিরি! স্কুল পালিয়ে রিক্সায় ঘুরা, ঈদে নতুন জামা লুকিয়ে রাখা, যেন পুরানো না হয়ে যায়, যৌবনের শুরুতে শুভদার দেয়া প্রেম পত্রের ভিতর লুকিয়ে রাখা গোলাপের পাপড়ীর ঘ্রাণ, সেই প্রথম বার নিজের অস্তিত্ব হাড়ানোর ভয়, সেই পুরনো ফেলে আসা আসবাবপত্র, ভাঙা চা এর কাপ, মাঝ রাতে কারো বুকে গুটিশুটি শুয়ে না থাকার আক্ষেপ…….. আরো কত কি যে মনের আঙিনা মাড়িয়ে বেড়ায়! নিশিরাতের জেগে উঠা বড় ভয়ংকর।

Add to favorites
1,360 views