নিঃসঙ্গতা -
অাব্দুল্লাহ অাল-মামুন
Published on: সেপ্টেম্বর 24, 2019
অামি অাজ অনেকদিন স্বপ্নে হাসি না।
অনেকদিন হলো
হলুদ বিকেলের অাড্ডায় বসিনা।
শেষ কবে মাঝরাতে তারকাময় অাকাশ দেখতে
ছাদে উঠেছিলাম
তা অাজ ঠিক মনে করতে পারছিনা।
একসময় কবিতা পড়লেই মুহুর্মুহ কড়তালি পরত,
কেউ একজন পাশে বসলেই
কবিতা শোনার জন্যে ব্যকুল হতো,
অথচ কতদিন হয়!
কেউ অামার কাছে কবিতা শুনতে চায়না।
কারও সাথে অভিমান করে
নাওয়া খাওয়া ছেড়ে মুখে কুলুপ টেনেছি,
এমনটা এখন অার হয়না।
কতদিন অায়নায় নিজেকে দেখিনা।
কেউ দেখবে বলে
চিরুনী দিয়ে মাথার একপাশের টাক
অন্য পাশের চুল দিয়ে বারবার ঢাকার চেষ্টা
এখন অার করিনা।
মাথার সাদা চুলগুলোও কালো করিনা
কতো দিন হলো সেও জানিনা।
ইদানীং চোখ দুটি মনে হয় শুকনো বিল
বিষদাঁতের কামড়ে কামড়ে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত,
অথচ গণ্ডদেশ তপ্ত অশ্রুসিক্ত হয়না।
কোন একসময় ঠান্ডা কাশি পেলেই,
সোনালী ঝিকঝিকে চুড়ি পড়া সাদা ধবধবে একটি কোমল হাত
এক গ্লাস গরম জল বাড়িয়ে দিয়ে বলতো,
জলটুকু খেয়ে নাও, কাশিটা কমে যাবে।
অামার এখন কাশতে কাশতে মুখ দিয়ে রক্ত বেরুয়,
অথচ গরম কিবা ঠান্ডা জল অার কেউ দেয়না।
কেনো বসিনা, কেনো দেখিনা, কেনো করিনা,
কেনো অামার হাসি পায়না,
প্রাশান্তচিত্তে কেন অার কবিতা পড়িনা,
কেন অার অশ্রুধারায় কাঁদিনা
এই প্রশ্নগুলো কেউ অামাকে করেছিলো বলেও
অাজ মনে পরছেনা।
অামি যেন ধাবমান ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়া কোন এক দূর্বল অারোহী,
ধাবমান ঘোড়ার পিছনের ধূলিঝড় অামাকে এমনভাবে ঢেকে দিয়েছে
অামার পাশ দিয়ে কত অারোহী ছুটে যায়
অথচ কারও দৃষ্টি অামার দিকে পড়েনা।

Add to favorites
1,532 views