নোনাস্বপ্ন -
শঙ্খ চিল
Published on: ডিসেম্বর 19, 2017
কতদিন হয়ে গেলো
ঠিক ছাদে দাঁড়ানো হয়না আমার
রং-হীন অদৃশ্য বাতাসে তুলে দেওয়া হয়না নিছক দীর্ঘশ্বাস,
নিঃসঙ্গতার চাদর অসাড় শরীরে জড়িয়ে
রাতের আকাশের দুর্লভ অন্ধকার আঁকা হয়না বহুকাল হলো!
ইচ্ছে ছিলো কোন একদিন দৃষ্টির নিশ্চুপ নিশানার সংঙ্গোপনে
কারো দু’চোখের গহীনে দেখে নিবো পূর্ণিমা,
অনন্তকাল নিথর আনন্দ অশ্রু বর্ষণে সৃষ্টি করবো কাল্পনিক ভালোবাসা।
খুব ইচ্ছে ছিলো দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্যমান কাউকে নিয়ে নির্জনতার কোলাহলে
জ্যোৎস্না স্নানে মেতে উঠবো,
শঙ্খ শরীরে এঁকে নিবো পূর্ণিমার তৈলচিত্র।
ঠোঁটে-ঠোঁটে বার্তা পাঠাবো অসংঙ্গায়িত প্রণয়ের!
শূন্যের মাঝে সৃষ্টি করবো অন্য এক পৃথিবী
যেখানে কেবল থাকবে ভালোবাসা তুমি আর আমি।
কল্পনারা হেঁটে হেঁটে বিলীন হবে দিগন্তরেখা পথ ধরে দূরে-বহুদূরে।
অথচ,কতগুলো প্রহর মৃত্যু ঘুমে তলিয়ে গেলো
দুঃস্বপ্নেরা ভিড় করলো বিধ্বস্ত দু’চোখে।
ক্রমশ মস্তিষ্কে পচন ধরতে শুরু করলো-
বিশ্বাস,ভালোবাসা আর ভালোবাসার মানুষটি!
পথভ্রষ্ট করে দিলো ভালোবাসার মায়াজাল আর বিকৃত হিংস্রতা,
গলা টিপে হত্যা করলো আমার সমস্ত রঙিন ইচ্ছা,
আঁধারে ক্রন্দন তুলে ডুকরে ডুকরে মৃত্যুকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিলো কিছু মলিন স্বপ্ন;
অস্পষ্ট নীল রংয়ের আস্তরণের প্রাচীরে চাপা পড়লো শঙ্খ শরীর।
শরীর জুড়ে শুধুই লেপ্টে থাকা হিংস্রতার কুৎসিত চিহ্ন!
ঐ’যে অদূরে বিদঘুটে পিচঢালা পথ
একদিন এ পথেই হয়ত আমার রঙিন স্বপ্নগুলো বেড়ে উঠেছিলো,
হাজার রংয়ে গড়া ছিলো স্বপ্নগুলো।
ভাবতে পারছিনা আমি আর
আহা!পিছনে আমার ভয়ংকর স্মৃতি,বীভৎস জীবন্ত অতীত।
অতীতের কষাঘাতে আহত আমি তবুও অবিরত পথ খুঁজে চলি বারংবার
তখনই ঠিক পথ আগলে নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকে অদৃশ্য কষ্টের প্রাচীর।
আজ আমার মাথার উপরে বিস্তৃত আকাশটাকে মিথ্যে মনে হয়,
বেঁচে থাকাটাই অর্থহীন লাগে;
ওদিকে জীবন বিদ্রুপের হাসি দিয়ে বলে-“মরে যাও, নির্লজ্জ পৃথিবীর বুকে তুমি বড় বেমানান”!
বিষণ্ন পৃথিবী রং বদলায় বড় অদ্ভুত নিয়মে।
এক সমুদ্র অতল শূন্যতা বুকে নিয়ে শব্দহীন চিৎকারে ভেঙ্গে পড়ে আকাশ,
অতঃপর কান্নাজলে অসাড় স্মৃতি বাক্সবন্দি করে সখ্যতা গড়ি একাকীত্ব আর দীর্ঘশ্বাসের সাথে।

Add to favorites
956 views