শেষকথা -
Ajmery
Published on: জানুয়ারী 4, 2018
কবি:হয়তো এটাই আমার শেষ লেখা।আজ নাহয় কাল কিংবা পরশু আমার কলমের কালি বলবেনা কথা।
প্রেম:কেন কবি?হেরে গেছ?
কবি:হয়তো তাই।জানো,তুমি আর থাকবেনা আমার কবিতার মাঝে,
চুড়ির ঝনঝনানিতে,দুপুরবেলার রোদ হয়ে আসবেনা ভেজা এলোকেশ শুকাতে।থাকবেনা আমার শাড়ির ভাঁজে কিংবা কন্ঠহারে।
আমি যে তোমায় নিয়ে আর লিখবো না,
প্রেম:আজ বুঝি আমি বিষাদময় হয়ে গিয়েছি?
কবি:তুমি আজ আমার কাছে অর্থহীন
প্রেম:অথচ একদিন আমি তোমার অস্তিত্ব জুড়ে, কবিতা জুড়েছিলাম।
কবি:কি করে লিখি বলতো? আমার রাজ্যে অসংখ্য ক্ষুধার্ত,প্রচণ্ড ক্ষুধা, ক্ষুধিত আমি নিজেও!
সেখানে তুমি ধূসরিত,
প্রেম:আমায় ছাড়া পৃথিবী অর্থহীন!আমি নই!
কবি:হাসালে,আমার চাই এক মুঠো আহার!তোমায় না!
চাই একটি ছায়া,নিরাপদ ছায়া যেখানে প্রশান্তিতে ঘুম দিবো।
কিন্তু তুমি?তোমার মাঝে কেবল স্বপনই বিরাজ করে!
প্রেম: আমি স্বপ্ন দেখাই বলে আজো তুমি বেঁচে আছো!
কবি:আমি বেঁচে আছি বেঁচে থাকতে হয় বলে। তুমি কি পারবে?পারবে আমার ইচ্ছেজাগা রাতের তারা হয়ে জ্বলতে?পারবে আমায় একটুকরো চাঁদ এনে দিতে?পারবে আমার জীর্ণ দেহ মাংসলে ভরে দিতে,অভাবহীন পৃথিবী দিতে!জানি পারবেনা তাহলে মিছে স্বপন কেন দেখাও!
প্রেম:আমি চাঁদ এনে দিতে পারবোনা তবে চাঁদে যাওয়ার রাস্তা বলে দিবো, আমি জীর্ণ দেহে জোছনা ভরা মায়া দিতে পারবো।আর অভাব, সেতো মনের অংশ,তুমিতো অভাবী নও।
কবি: কে বললো তোমায়?যদি তাই হয় তাহলে আমার কেন কিছু নেই?আমার পেটে আহার নেই,মাথার উপর ছায়া নেই, আমার চারপাশ কেবলই আঁধার!কেবলই নেই!
প্রেম:আঁধার দূরীকরণে আমি তো আছি,তাকিয়ে দেখ,আমায় গ্রহণ করো।তোমায় দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাতে দেও!
কবি:এতো স্বপ্ন দেখিয়ে কি লাভ যদি পূরণ নাই হয়।বারংবার ভাগ্যকে দোষারোপ করার চাইতে তুমি বরং চলে যাও।তুমি আমার কাছে আজ থেকে মৃত।আমি হৃদয়হীনা,বুকে কষ্টের পাহাড় না হয় থাকুক।
প্রেম:আজ ক্ষুধার কাছে আমায় জলাঞ্জলি দিচ্ছ!তবে তাই দাও,মনে রেখো এই আমি আবার তোমার ক্ষুধার কারণ হবো।যেদিন পাহাড়ের ওজন সইতে পারবেনা সেদিন আমায় ডেকো।আমি আঁজলা ভরে তোমার দুঃখ নিবো।

Add to favorites
594 views