শেষ দেখা লিখা : মিনা উৎসর্গ: মামা -
Kolpona mina
Published on: নভেম্বর 2, 2020
হয়তোবা নাও হতে পারতো কিন্তু হয়েছে
যা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে!
লেখনী তা প্রকাশ করতে পারবেনা ।
জানি একদিন চলে যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে,
তাই বলে এইভাবে চলে গেলে মামা তুমি আমাদের ছেড়ে ।
কত কষ্ট আর কত যাতনা ছিল মনে তোমার
তোমার ভালো লাগেনি এই ঘর-সংসার।
কেন ভাবনি একবার ?
কেন পেছন ফিরে দেখলে না ?
কিছু মানুষ তোমায় অনেক ভালোবাসতো
তুমি বেঁচে থাকতে তাদের জন্য,
বেঁচে থাকাটা প্রয়োজন।
দেখো আজ কাঁদছে সবাই
অবুঝ মনগুলো মানতে চায়না ডাকছে তোমায়,
কই ? তুমিতো নিশ্চুপ ঘুমিয়ে অন্ধকারে ।
যেখানে গেছো চলে..
কেউ তোমাকে করবেনা আর জ্বালাতন।
সব কিছুই আছে,
মামা শুধু তুমি নেই !
ওরা বুঝলো না তোমায়,
বিবেক আজও ভাবিয়ে তুলে।
জীবনের এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে তুমি খেয়েছো- হাজারো হুচট ।
করেছ অনেক যা তোমার সাধ্যে ছিলো;
দাওনি মামা তুমি আমাদের অনেক দামী কিছু,
তাতে কি? তুমি দিয়েছো অমূল্য ভালোবাসা।
আর আসবেনা তুমি..
বলবে না কখনো “এক কাপ চা দাওতো”
টেলিফোনের ওই পাশ থেকে-
তোমার কন্ঠে এই প্রশ্ন আর শোনা হবেনা,
হ্যালো, হ্যালো,
তোমরা সবাই ভালো আছো ?
কেন না বলেই চলে গেলে?
নীরবে অন্তরালে।
তুমি জানোনা, তুমি কতো যে প্রিয় তোমার বোনদের কাছে।
তোমার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছে তারা,
অকপটেই তাদের চোখে পানি চলে আসে।
যাওয়ার বেলায় কেন ভাবনি?
নাকি ভাবারমতো শক্তি টুকুও হারিয়ে ফেলেছিলে তুমি?
কেন চলে যেতে তোমার এতো আয়োজন?
অভাব,অবহেলা, বিষন্নতা আর হতাশা, তোমাকে- বাঁচতে দেয়নি এই পৃথিবীতে।
জীবনের এই কঠিন পথে তুমি পাওনি সুখের দেখা,
পরলেনা তুমি কখনো ভালো জামা, জুতা,
বাস করলেনা দামি অট্টালিকায়,
খাওনি তুমি খুব একটা দামি খাবার।
ধৈর্য তুমার হারিয়ে গিয়েছিল,
তুমি হেরে গিয়েছিলে জীবনের কাছে।
আজ তুমি আকাশের শুকতারা,
এইতো বিদায় , চিরবিদায় আর হবেনা দেখা!
আজও চোখে ভেসে উঠে তোমার মুখখানা,
দেখেছিলাম তুমার মায়াভরা মুখখানা লাশঘরে,
এই দেখাই ছিল শেষ দেখা,
শেষ নিদ্রায় শায়িত ছিলে তুমি ।
আমরা সবাই একই পথের পথিক
একই পথে দেখা হবে একদিন।
দুনিয়া তোমাকে যা দেয়নি;
তা যেন আখিরাত তোমাকে দেয়,
তোমার কবর যেন হয় বেহেস্তের বাগান।
তুমি বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে,
যতদিন এই দেহে প্রাণ আছে,
ভালো থেকো ওপারে অনেক ভালো।
আবারও মনে পড়ে…
কাকে ডাকবো মামা বলে ?

Add to favorites
644 views