মায়াবতী… -
ডাকাবুকো
Published on: নভেম্বর 8, 2016
ঠিক কবে তোমাকে নিয়ে লিখেছি মনে পড়ছেনা। শেষবার যখন আষাঢ়ি ঢলে ভেসে ছিল তেপান্তর, আমাদের বড় রাস্তার মোড়ে দেখেছিলাম তোমার সেই চাঁদ মুখ। দূর থেকে অপলক চেয়েছিলাম তোমা্র পানে। সেই শেষ দেখা! সেই থেকে অনেকটা সময় গড়িয়ে গেছে তোমাকে বিহীন। অবশ্য মাঝে মাঝে স্বপ্নে তোমার দেখা পেতাম। কাল রাতেও তুমি এসেছিলে, তবে একা নও। তোমার আঙ্গুলে আঙ্গুল চেপে ফুটফুটে এক রাজকন্যা ছিল। রাজকন্যার দু-চোখ জুড়ে অদ্ভুত এক মায়া ছিল, ঠিক যে মায়া তোমার চোখে দেখেছিলাম বহুকাল আগে।
মায়াবতীর সাথে প্রথম কিভাবে পরিচয় হয়েছিল ঠিক মনে পড়ছেনা ! তবে কোন এক জ্যোৎস্না রাতে মায়াবতীর সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল এটি খুব মনে আছে!! মায়াবতী জ্যোৎস্না ভালোবাসতো ভীষণ । কথা ছিল শুক্লা দ্বাদশীর কোন এক রাতে শাণ বাঁধানো পুকুর ঘাটে জ্যোৎস্না স্নানে বিনিদ্র রাত কাটাবো! চার পাশে ঝিঁঝিঁ পোকাদের হাসাহাসি আর নাচানাচি ছাড়া সর্বত্র থাকবে নিশ্চুপ নিরবতা।
স্বপ্ন দেখতাম একটা ছোট্ট সাজানো গোছানো সংসারের। পাখির বাসার চেয়ে সামান্য বড় হবে আমাদের থাকার ঘর, আমি আর মায়াবতী আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে থাকবো সে ঘরে। আমাদের সেই ছোট্ট কুটিরে থাকবো কেবল আমি, মায়াবতী আর ভালোবাসা ।আর সঙ্গে থাকবে এক আঁজলা সুখ! সেই সুখে গড়াগড়ি খাবো আমরা নিরন্তন! আমাদের ভালোবাসায় সৃষ্টি হবে নতুন প্রান!!
মায়াবতী বোধহয় এখন আর জ্যোৎস্না ভালবাসেনা, তাই কেবল অমবশ্যার রাতেই আমার সাথে মায়াবতীর এখন দেখা হয়। কাল বোধহয় ভুল করে মায়াবতী ভরা জ্যোৎস্নায় আমার সাথে দেখা দিল!নাকি আমার প্রতি করুনা হলো তার?
কাল মায়াবতীকে কেমন যেন বিমর্ষ দেখালো! চোখ দুটো কেমন যেন বসে গেছে, নয়ন ভোলানো সেই হাসি টাও নেই একদম। নিশ্চয় আগের মতো না খাওয়ার অভ্যাশ টা পুনরায় চালু করেছে?আমার মতো করে খাওয়ানোর জন্য কেউ বুঝি পাগলামি করেনা এখন? চোখের কোণে জল ছলছল করছিল, মনে হলো এই বুঝি টুপ করে এক ফোটা জল গাল বেয়ে পড়লো বলে! তবে কি আমাকে দেখে মায়া হলো মায়াবতীর!! ভয় নেই মায়াবতী আজ আর পথ আগলে বলবোনা- কেন আমার হলেনা! কোন কৈফিয়ত চাইবোনা আজ তোমার কাছে। মায়াবতী শুধু একটা অনুরোধ রেখো – মাঝে মাঝে স্বপ্নে এসো, করুণা করে হলেও এক আঁজলা ভালবাসা দিও……!!

Add to favorites
5,882 views