সুপার হিউম্যান -
আল-হাজেন মাহমুদ বাবু
Published on: নভেম্বর 29, 2016
লোকটার গলাটা ধরে গেছে,
চোখগুলো ভিজে উঠেছে।কিন্তু কষ্টে প্রকাশ করতে পারছেন না?
শত হলেও আমি তার ছেলে।
আমার সামনে নিজের কষ্ট দেখাতে চাচ্ছেন না।
-হ্যাঁ উনি আমার বাবা।
প্রতিটা সন্তানের কাছে তার বাবা সুপার হিউম্যান।
তেমনি উনিও আমার সুপার হিউম্যান।
আমার ও গলাটা ধরে গেছে।প্রচন্ড গরম এখানে।কপালের নোনা জল আর চোখের নোনা জল মিলে একাকার হয়ে গেছে।
-সবাই কেমন আছেরে, তর মা কে দেখিছ কিন্তু বাবা !
– কেমন আছে,আর বোন,ভাই,দাদু, তোমার চাচারা কেমন আছে
-হ্যাঁ বাবা সবাই ভালো আছে।
তুমি কেমন আছ
-ভালোই আছিরে বাবা
-তোমার পড়াশুনার কি অবস্থা, তোর উপর বেশি চাপ পড়ে গেছে নারে?
-না বাবা ওত আমার দায়িত্ব ! তুমি চিন্তা কর না।
আমার উত্তরটা শুনে এবার বাবা পারলেন না তার চোখের পানি ধরে রাখতে।
ইচ্ছে করছে বাবাকে জড়িয়ে ধরি।
চিৎকার করে বলি বাবা আমি পারব আমি পারব।
কিন্তু আমার সুপার হিউম্যান আর আমার মাঝে কিছু লোহার শিক হয়ে আছে বাঁধা। আচ্ছা লোহার শিকের এত শক্তি যে আমাদের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
টিং টিং -এই যে আপনার সময় শেষ। চলুন এখান থেকে। পেছন থেকে তাগাদা পেয়ে বাবার কাছ থেকে বিদায় নিতে হল। আমার “ভালো থেক” আর বাবার “ভালো থাকিস” বলতে গিয়ে দুজনেরই গলা ধরে গেছে। চোখের নোনা জল আর বাঁধ মানছিল না কারোই। বহু কষ্টে নিজেকে সামলে বেরিয়ে আসলাম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হতে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি মা কে কল দেই।
-হ্যাঁ সেটাই ভালো। মা অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে বাবার খবর পাবার জন্য।
-হ্যালো আম্মা !
-হ্যালো বাবা তোমার বাবা কেমন আছে,শরীলটা ভালোত ।-হ্যাঁ আম্মা ভালো আছে।
-আর কি বলেছে,
আম্মার কন্ঠের আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম আম্মা ভেঙ্গে পরছে। ওকে বলে আম্মার কাছ হতে মোবাইলটা রাখলাম। উওরা আসার জন্য উঠে পরলাম বাসে। ঢাকা শহরের বাস জার্নি করার সময় অনায়েসেই নিজেকে স্পাঈডার হিসেবে ভাবা যায়। হাসি পাচ্ছে না। নিজেকে হাসানোর জন্য নানান উদ্ভট চিন্তা করছি। হাসি আজ গেল কোথায়? সেও কি আমায় ত্যাগ করল???????????????
But Why

Add to favorites
2,989 views